Inhouse product
কাদিসিয়ার যুদ্ধ ছিল এক ভয়াবহ যুদ্ধ। পারস্য বাহিনী তাদের হাজার বছরের ইতিহাসে সবচে’ বিশাল বাহিনী নিয়ে মুসলিমদের মুখোমুখি হয়েছিল এ যুদ্ধে। কাদিসিয়ার প্রান্তরে এই যুদ্ধ সংঘটিত হয়। মুসলিম বাহিনীতে ছিলেন সহস্রাধিক সাহাবী। এই যুদ্ধের মাধ্যমে হাজার বছর ধরে টিকে থাকা প্রতাপশালী পরাশক্তি পারস্য সাম্রাজ্যের শেষ সাসানিয়ান সাম্রাজ্যের পতন ঘটে, এবং পারস্য সাম্রাজ্য পৃথিবী থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়। জীবন-মরণের এই ভয়াবহ যুদ্ধ হল মুসলিম ইতিহাসের একটি সোনালী অধ্যায়। যুদ্ধের প্রারম্ভ থেকে সমাপ্তি পর্যন্ত প্রতিটি মুহূর্তে মুসলিমদের বীরত্ব, ঈমানের তেজ, উদ্যম, প্রত্যয় এবং আল্লাহর রাস্তায় অমূল্য প্রাণ বিলিয়ে দেয়া মুজাহিদদের বহু ঘটনা আমরা দেখতে পাই। . আমি আশা করি আমাদের যুবকগণ এই সোনালী দিনের ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেবে। আমাদের পূর্বসূরিদের ধার্মিকতা, সততা, আবেগ, ন্যায়নিষ্ঠতা, সাহসিকতা ও বীরত্বের এবং আত্নোৎসর্গী কৃতিত্বের কথা স্মরণ করবে। ভেবে দেখবে যে আমরা কতই না শক্তিশালী জাতি ছিলাম একসময়। যদিও পরাশক্তি রোম ও পারস্যের মত বস্তুগত উন্নতি, উন্নত অস্ত্র-প্রযুক্তি ও বিস্তৃত ভূখণ্ড আমাদের ছিল না। আর্থিক দুরাবস্থা ও অভাব অনটনে ছিলাম আমরা। কিন্তু ঈমান, আদর্শ এবং সাহসিকতায় ছিলাম অপরাজেয়, অপ্রতিদ্বন্দ্বী। যার ফলে আকাশ-পাতাল ব্যবধান থাকা সত্ত্বেও আমরা পুরো দুনিয়া জুড়ে আধিপত্য কায়েম করেছিলাম। শক্তি-ক্ষমতায়, জ্ঞান-বিজ্ঞানে, আদর্শে, সমাজ বিকাশে-সভ্যতায়, শিক্ষায়-দীক্ষায়, অর্থ ব্যবস্থায় আমরা ছিলাম তৎসময় একমাত্র অনুসরণীয় ও অনুকরণীয় জাতি। আমাদের যুবকদের উচিত আমাদের এই সোনালী দিনের ইতিহাস স্মরণ করা এবং শিক্ষা নেয়া।